Saturday, May 18, 2013

৪৮ ঘণ্টা পর আর সমাবেশের পারমিশনের (অনুমতি) জন্য অপেক্ষা করব না। খালেদা জিয়া

সংলাপের প্রস্তাব নাকচ করে নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া দেশের রাজনীতিতে 'অশনিসংকেত' বলে মনে করছেন রাজনীতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।


খালেদা জিয়া বলেন, 'সরকারকে অনেক সময় দিয়েছি, ধৈর্য ধরেছি। হেফাজতের কর্মসূচি না থাকলে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে রাজপথে অবস্থান করতাম। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সরকার ভাবুক। দাবি না মানলে শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।' তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে এমন কর্মসূচি দেওয়া হবে যে সরকার পালাতে বাধ্য হবে। তিনি সরকারকে বলেন, 'কোনো ধানাইপানাই করবেন না। ৪৮ ঘণ্টা পর আর সমাবেশের পারমিশনের (অনুমতি) জন্য অপেক্ষা করব না। যেখানে পারব বসে পড়ব। আর জেল-জুলুম, নবীর (সা.) অবমাননা সহ্য করব না।'
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, 'তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সৌদি আরবে গেলে জোব্বা পরেন, তজবি টিপেন আর ভারতে গেলে তিলক আঁকেন। তাঁর বেশভূষার ঠিক নেই। তাঁকে বিশ্বাস করা যায় না।'
সংলাপে বসতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের জবাব দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষ ও শ্রমিক ফুঁসে উঠেছে। এ জন্য দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে প্রধানমন্ত্রী আরেক নাটক তৈরি করেছেন। সংলাপের নাটক তৈরি করেছেন। আলেম-ওলামা ও শ্রমিকদের ক্ষোভ চাপা দিতে এবং ১৮ দলের সমাবেশ বানচালের জন্য এই সংলাপ নাটক। কিন্তু আগে পরিষ্কার করে বলতে হবে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সংসদে বিল আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এটা গণমাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন। তাহলে আলোচনার দরকার হবে না।
খালেদা জিয়া বলেন, আলোচনার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এরপর সুস্পষ্ট আলোচ্যসূচি দিতে হবে। তিনি বলেন, 'আমরা আলোচনা চাই। প্রধানমন্ত্রী কখনো সংসদে এসে আলোচনার জন্য বলছেন, আবার কখনো ফটোসেশনের জন্য ডাকছেন। হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে চা খাওয়ার জন্য ডাকবেন। আমিই তাঁকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার জন্য চায়ের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। নির্দলীয় সরকার না হলে পরিণতি খারাপ হবে।'
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির প্রতি নিজের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, হেফাজতের কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না। বাধা দিলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। আলেম সমাজ পথে নেমেছে। শাহবাগের ধর্মদ্রোহীদের না সরালে এবার আর আলেমদের সরানোর চিন্তা করবেন না। এবার আর তাঁরা ফেরত যাবেন না। শাহবাগের তরুণদের সম্পর্কে তিনি বলেন, 'এরা তরুণ নয়। এরা সরকারের শেখানো বুলি বলছে। সেখানে বসে নবীজি সম্পর্কে কী ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে। তার পরও সরকার তাদের জামাই-আদর করছে।' তিনি বলেন, সরকার বিদেশিদের কাছে আলেমদের জঙ্গি বলে উল্লেখ করছে। আলেমরা জঙ্গি নন, তাঁরা দেশকে ভালোবাসেন, ধর্মকে ভালোবাসেন। 
বিরোধীদলীয় নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উন্মাদ, মাথা খারাপ ও পাগল বলে মন্তব্য করে বলেন, 'পাগল-ছাগল মন্ত্রীদের বাদ দিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে বসেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান।' 
খালেদা জিয়া বলেন, গ্যাস-সংক্রান্ত কিছু তথ্য থাকার কারণে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা তাঁদের ল্যাপটপ নিয়ে গেছে। তাঁদের কাছে থাকা তথ্য প্রকাশিত হলে সরকারের চরিত্র উন্মোচিত হয়ে যেত। এই দুই সাংবাদিক দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতির ২ শতাংশ অর্থ লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল। লন্ডনে কে থাকেন? সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়রা থাকেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সরকার মানুষ গুম করছে, লগি-বৈঠা দিয়ে ও বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। এদের মুখে মানবতা মানায় না। তিনি অভিযোগ করেন, রানা প্লাজা ধসের কারণে দেশের পোশাকশিল্প ধ্বংসের মুখে। এতগুলো মানুষ মরল আর সরকার সান্ত্বনার জন্য শোক দিবস ঘোষণা করেছে। ছুটি পর্যন্ত দেয়নি। অথচ তাদের দলের একজনের জন্ম ও মৃত্যুর দিনেও ছুটি থাকে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা। আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমদ, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী, বিজেপির সভাপতি আন্দালিব রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, আবদুল মঈন খান প্রমুখ।

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সময় বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা সত্ত্বেও সরকারি দল সংলাপের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল জানান, বিরোধীদলীয় নেত্রীর সময় বেঁধে দেওয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেত্রী সংঘাতের পথ বেছে নিলেন। তার পরও আলোচনার দরজা খোলা আছে। সংসদে ও সংসদের বাইরে যেকোনো জায়গায় নির্বাচনকালীন সরকার-পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। 
আওয়ামী লীগের নেতাদের মতে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন একটি অসাংবিধানিক বিষয়। অপরদিকে বিরোধীদলীয় নেতার পদটি সাংবিধানিক। একটি সাংবিধানিক পদে বসে অসাংবিধানিক দাবি তোলা মোটেই সংগত নয়। যোগাযোগ করা হলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, সংলাপের প্রয়োজন আছে। কিন্তু সংলাপের জন্য রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নত করতে হবে। দুই বড় দলের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। আর প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে সংলাপের আয়োজন করার আগে পর্দার অন্তরালে কথাবার্তা বলে সমঝোতায় আসতে হবে।
আকবর আলি খান বলেন, বিরোধী দলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি হচ্ছে, তাদের নেতাদের মুক্তি। এ বিষয়টি সরকার ভেবে দেখতে পারে। তাতে হয়তো সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টিতে কিছুটা সহজ হতে পারে। বিরোধী দলের মনোভাবে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
সরকারি দলের সূত্রগুলো বলছে, বিরোধী দলের লক্ষ্য যদি হয় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, তাহলে সেটি কোন পদ্ধতিতে সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা হতে হবে। তারা এ বিষয়টি বিরোধী দলকে বোঝানোর চেষ্টা করবে। খালেদা জিয়ার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারে। গতকাল রাতে দলের শীর্ষ পর্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও সূত্রগুলো জানায়। 
আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা প্রথম আলোকে বলেন, গতকালের সমাবেশে খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্যে কিছু অসামঞ্জস্য লক্ষ করেছেন তাঁরা। যেমন তিনি বলেছেন, 'সংলাপের প্রস্তাব যথেষ্ট নয়। পরিষ্কার করে বলতে হবে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।' আবার বলেছেন, 'সংবিধান সংশোধন হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে—এটিই হবে আলোচনার বিষয়।' এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বেগম জিয়া বলেছেন—'আসুন, আমি আপনাকে চায়ের দাওয়াত দিচ্ছি। সেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হবে।'
আওয়ামী লীগের ওই নেতারা বলেন, আসলে খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সরকার-পদ্ধতি নির্ধারণের চেয়ে বেশি আগ্রহী জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টিতে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার-পদ্ধতি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুটি অবস্থান তো সবারই জানা। এটা নিয়ে আলোচনা ছাড়া তো কোনো সমাধান নেই। আলোচনার এজেন্ডা হবে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে। সেখানে কোনো সমাধান বা সমঝোতায় পৌঁছা না গেলে তখন পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা ভাবা যেত। কিন্তু আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের অবস্থান মেনে নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়ায় কোনো সমাধান হবে না। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এখনো চায় দুই দল আলোচনায় বসুক।
১৪ দলের নেতা রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়ার এ রকম বক্তব্য ও সময় বেঁধে দেওয়া এবারই প্রথম নয়। এ ধরনের বক্তব্য তাঁর রাজনৈতিক হঠকারিতা ও অদূরদর্শিতার ফল। এটা গণতন্ত্র ও দেশের জন্য একটি অশনিসংকেত। এর ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে তিনিই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।


পায়রা পোষা শুরু করতে হবে। ডাকবিভাগ তো বহু আগেই বাতিলের খাতায় নাম লিখাইসে, আর এখন BTRC যেভাবে একের পর এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাতে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের আকাশে পায়রার ডানার ঝটপটানি ছাড়া কিছুই চোখে পড়ছে না............।

////-Ïñsømñïac Sòúl

গণজাগরণ মঞ্চের 'জাগরণী সমাবেশ'
পরিবর্তিত স্থান: টাউন হল, ময়মনসিংহ
তারিখ ও সময়: ২০ মে ২০১৩ খ্রি. বিকাল ৩ টা
উদ্যোগ: গণজাগরণ মঞ্চ, ময়মনসিংহ
উপস্থিতি: ময়মনসিংহ জেলার গণজাগরণ মঞ্চসমূহ
প্রধান আকর্ষণ: শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকগণ

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য যেমন যুদ্ধাপরাধীদের অপকৌশল শুরু হয়েছিল, তেমনি ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য গড়ে ওঠা প্রজন্মের এই গণআন্দোলনকে নস্যাত করার নানা ষড়যন্ত্র চলছে অনলাইনে ও অফলাইনে। অতএব ২০১৩ এর রাজাকারেরা তোদেরও পরাজয় হবে, যেমন হয়েছিলো তোদের পূর্বসূরী আল-বদর, আল-শামসদের। জি সি দেব, মুনীর চৌধুরী, আলতাফ মাহমুদ, জহির রায়হান সহ সুর্যসন্তানদের হত্যা ও গুম করেও তোদের বর্বর পূর্বসুরীরা থামাতে পারেনি আমাদের মুক্তির জয়যাত্রাকে, আর তোদের ক্ষমতা তো ওই স্ট্যাটাস গায়েব পর্যন্তই।
আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবেই।
জয় বাংলা।

::::Imran H Sarker

ইসলাম আমাদের প্রানের ধর্ম আর বাংলাদেশ প্রানের দেশ ......... এ দেশের মাটিতেই বিচার হবে নর পশুদের ........ আর ভন্ড ইসলাম ধর্ম ব্যবসায়ীরা ভূপতিত হবে ..... ইনশাল্লাহ ........... আগে আগুন জলেছে শাহবাগে আর এখন জলছে লাখ লাখ তরুনের প্রাণে ........... মোম অথবা তেল না থাকলে আগুন নিভে যায় কিন্তু, প্রানের আগুন এর ইন্ধন হলো রাজাকার ..... ১ টা রাজাকার থাকতেও তা নিভবে না ইনশাল্লাহ।
/////Sheikh Abir Akram

দ্বাদশ সংস্করণ:
"আজকে ধানমন্ডিতে জিয়ান চাইনিজ রেস্টুরেন্টে একটা জন্মদিনের দাওয়াত খেতে গেছি। সেখানে গিয়ে দেখি আমার বহু পুরোনো এক দোস্ত, ফেসবুকের সুবাদে যারে আমি হেফাজতের একজন বড় সমর্থক হিসেবেই দেখে এসেছি।
সে আমাকে দেখে বলল, 'কী রে, শাহবাগে এইসপ্তাহে কোনো কর্মসূচি দেখলাম না।'
আমি বললাম, 'কেমনে কর্মসূচি হবে? ৫ তারিখ রাতে যখন শাহবাগের মঞ্চ ভেঙ্গেদেয় পুলিশ, তখন আমাদের দেড় হাজার কর্মী নিখোঁজ হয়েছে। ওদেরকে খুঁজতেই তো সময় চলে যাচ্ছে।'
সে অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে বলল, 'কই, এরকম খবর তো কখনো শুনিনি!'

আমি বললাম, ' তাইলে চিন্তা করে দেখ, শাপলা চত্বরে ৩ হাজার লোক গায়েব হইছে,তাদের আত্মীয় স্বজনও গায়েব হইছে। আর শাহবাগ চত্বরে দেড় হাজার লোক গায়েব হইছে, আত্মীয় স্বজন গায়েব হইছে এমনকি সেই খবরটা পর্যন্ত গায়েব হয়ে গেছে। কোন পক্ষে গায়েব বেশি এইটা চিন্তা কর? সবকিছুই চলছে গায়েবানায়!'

::::Arif Jebtik

৫ মে ২০১৩ তারিখে "হেফাজত-জামায়াত-শিবির" চক্র কুরআন পোড়ানোর পর অনলাইনে যথেষ্ট চাপে পরে যায়। আর সেই চাপ থেকে উদ্ধারের জন্য এরা কুরআন নিয়েই আরেকটি চমৎকার মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয়। 
এরা এমন একটি ছবি বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যা দেখলে যেকোনকুরআন প্রেমি মানুষকে নাড়া দেবে এবং সে ৫ তারিখের কুরআন অবমাননা কিছুটা হলেও ভুলে যাবে। 

কিন্তু সমস্যা দেখা দিল অন্য যায়গায়, ওইদিন "হেফাজত-জামায়াত-শিবির" চক্র তান্ডবের যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে মতিঝিলে আসলেও কুরআন সাথে করে আনার কথা এবং কুরআন নিয়ে অভিনয় করার কথা ভুলে যায় এবং সেজন্য তারা মতিঝিল থেকে তেমন আবেগি কোন ছবি (যেমনঃ পুলিশের টিয়ার গ্যাসের ভেতরেও অভিনয় করে কুরআন পরছে টাইপ কোন ছবি) যোগার করতে ব্যর্থ হয়। 

তো সেই অবস্থায় তাদের কাছে একটাই পথ খোলা থাকে আর তা হচ্ছে গুগল, গুগল থেকে "সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের" একটা "রক্ত মাখা কুরআনের" ছবি ডাউনলোড করে তাতে কিছু আবেগি কথাবার্তা লিখে অনলাইনে প্রচার করা শুরু করে। 

সিরিয়ার রক্ত মাখা কুরআন কোন পথে বাংলাদেশের আমদানি করা হলো সেটার উত্তর ছাগুদের কাছে চাই।
আর কোরআন অবমাননার হাত থেকে বাঁচার জন্য কুরআন নিয়েই মিথ্যাচার করাটা ইসলাম ধর্মে জায়েজ আছে কিনা তা জানতে চাই। 
------------------------------
ইসলাম ধর্মে এই মিথ্যাচার সম্পর্কে কি বলে???? 
"তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন করো না।" - (সূরাঃ আল-বাকারাহ্, আয়াতঃ ৪২) 
"তাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যারোপ করেছিল, ফলে তাদের কাছে আযাব এমনভাবে আসল, যা তারা কল্পনাও করত না।" - (সূরাঃ আয-যুমার, আয়াতঃ ২৫) 
"মিথ্যা তারাই বলে, যারা আল্লাহর আয়াতে ইমান রাখে না।"- (সুরাঃ নাহল, আয়াতঃ ১০৫)
------------------------------
সত্য এবং শুধুই সত্যঃ
# জামায়াতে ইসলাম মেইড ইন পাপিস্তান। 
# মিথ্যা বলা মওদূদী ধর্ম বিশ্বাসীদের ঈমানের অঙ্গ।
# বাংলাদেশ পাপিস্তানি ছাত্র ছিঃবির - মিথ্যা ও অন্যায় প্রতিষ্ঠার নির্লজ্জ কাফেলা। 
------------------------------
ছাগু পোষ্টঃ 
http://www.facebook.com/photo.php?fbid=525681350822739

ছাগু পেইজঃ 
বখতিয়ারের ঘোড়া

সত্য সংবাদ এবং ছবিঃ 
http://www.photoblog.com/lccsyria/2012/03/01/
(LCC Syria সংগঠনের ১লা মার্চ ২০১২ তারিখে আপলোড করা এই এ্যালবামের ৩য় ছবিটি নিয়ে ছাগুরা মিথ্যাচারটি করেছে।) 

////।।রাজাকারের বিবির,বাচ্চারা সব শিবির।।

পল্টন ও এর আশেপাশের এলাকা এক সময় পরিণত হয় পুরো রণক্ষেত্রে।

পল্টন ও এর আশেপাশের এলাকা এক সময় পরিণত হয় পুরো রণক্ষেত্রে।

ছবি: সাহাদাত পারভেজ

পল্টন মোড় থেকে দৈনিক বাংলার মোড় পর্যন্ত ডিভাইডার ভেঙে রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করেছেন হেফাজতের কর্মীরা। পুরো রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেওয়া হয়। আশপাশের গলিতেও আগুন জ্বালায় হেফাজতের কর্মীরা। তবে রাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলে।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক রাত নয়টার দিকে জানান, পুলিশ যাওয়ার পর হেফাজতের কর্মীরা ভাগ হয়ে বায়তুল মোকাররমের ভেতরে, পাশের একটি গলিতে ও বায়তুল মোকাররমের পূর্ব পাশে অবস্থান নেন। 
এদিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনের হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ভবন, জিপিও, বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটের দোতলার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। 
এর আগে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, পুলিশ আগুন নেভাতে যাওয়ার জন্য বায়তুল মোকাররম মার্কেটের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে হেফাজতের কর্মীরা তাদের বাধা দেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে হেফাজতের কর্মীরা ঢিল ছোড়েন। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানা গেছে, আগুন নেভাতে যাওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকেও বাধা দিয়েছেন হেফাজতের কর্মীরা। পরে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 
আগুনে হাউস বিল্ডিংয়ের নিচতলার একাংশ আগুনে পুড়ে গেছে। আগুন দোতলায়ও ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে পল্টনের র্যাংগস ভবনে আগুন দেওয়া হয়। সেখানে 'সকালের খবর' পত্রিকার কার্যালয় রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান। আগুন ও সংঘর্ষের কারণে ওই ভবনে থাকা 'সকালের খবর' পত্রিকার বেশির ভাগ সাংবাদিক ও কর্মী আজ রোববার কার্যালয়ে ঢুকতে পারেননি।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর থেকেই পল্টনে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালাচ্ছেন ও আগুন দিচ্ছিলেন। দুপুরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সহিংসতার একপর্যায়ে সিপিবি কার্যালয়ের উল্টো দিকের র্যাংগস ভবনে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় ওই ভবনের নিরাপত্তা কর্মীদেরকেও মারধর করা হয়। ওই ভবনের আটতলা ও নয়তলায় সকালের খবরের কার্যালয়। 
আমাদের প্রতিবেদক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, র্যাংগস ভবনের আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা করলে হেফাজতের লোকজন তাতে বাধা দেন। পরে পুলিশের পাহারায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজ করেন।
'সকালের খবর' পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক সাইফ ইসলাম দিলাল প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সন্ধ্যায় তাঁদের ভবনে আগুনে দেওয়া হয়। আগুন ও সংঘর্ষের কারণে তাঁদের বেশির ভাগ সাংবাদিক ও কর্মী কার্যালয়ে আসতে পারেনি। তবে এ অবস্থার মধ্যেও সোমবার সীমিত আকারে পত্রিকা বের হবে।'
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পল্টন এলাকার বেশ কিছু স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুন নেভাতে যাওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতেও বাধা দেওয়া হয়। তবে পুলিশ পাহারায় কর্মীরা কাজ করছেন।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দিলকুশায় বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি বাস আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়। এর মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি বাস ছিল। বিআরটিসির ডিজিএম (অপারেশন) খান কামাল জানান, রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিআরটিসির পাঁচটি বাস আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যা সাতটার দিকে পল্টনে ফুটপাতের শতাধিক দোকান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন হেফাজতের কর্মীরা। এ সময় কেএফসির একটি দোকানেও আগুন দেওয়া হয় বলে আমাদের প্রতিবেদক জানান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিভিয়েছেন।


মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ১৮ দলের সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা মানবতা-বিরোধী অপরাধে আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। তবে ১৮ দলের শরিক অন্য কোনো দলের নেতা জামায়াতের নেতাদের মুক্তির দাবি করে কিছু বলেননি।
সমাবেশে বক্তৃতায় জামায়াতে ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ অবিলম্বে তাঁদের দলের নেতাদের মুক্তি চান। আর, দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ এই সরকারের কারাগার ভেঙে নেতাদের মুক্ত করার অঙ্গীকার করেন।
জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গতকাল সকাল থেকেই সমাবেশ মঞ্চের কাছাকাছি অবস্থান নেন। তাঁদের হাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজাপ্রাপ্ত এবং অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিসংবলিত ব্যানার ও পোস্টার ছিল। ছাত্রশিবিরের ছোট ছোট কয়েকটি দল দৈনিক বাংলার মোড় ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় অবস্থান করে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ জামায়াতের আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয়। সমাবেশস্থলে ছাত্রশিবিরের একটি পোস্টার সবার নজর কাড়ে। ওই পোস্টারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ছবির নিচে লেখা 'বন্যেরা বনে সুন্দর, মখা পাগলাগারদে'। ওই ব্যানারের পাশে দাঁড়িয়ে অনেককে ছবি তুলতে দেখা গেছে। 
চার পুলিশকে পিটিয়েছে শিবির: প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের একদল নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে মতিঝিলে পূবালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে পুলিশের চারজন সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক (৩৮), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আজিজুল হক (৩৮) ও কনস্টেবল আশরাফ উদ্দিনকে (৩৩) রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে এবং কনস্টেবল হাসিনুর রহমানকে (৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, পূবালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি কাভার্ড ভ্যানে লাঠিসোঁটা ও কাঠ রাখা ছিল সকাল থেকে। পুলিশ প্রথমে এসব কাঠ ও লাঠিসোঁটা ব্যাংকের বলে মনে করেছিল। এর দাবিদার না পাওয়ায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেগুলো জব্দ করে মতিঝিল থানায় নিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক এ সময় ছাত্রশিবিরের একদল নেতা-কর্মী অতর্কিতে হামলা চালিয়ে পুলিশের চার সদস্যকে আহত করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।


হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজধানীবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আজ রোববার রাতে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে তাঁর উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তবে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে রাতে শামসুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি নয়, রাজধানীবাসীকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রোববার সকাল থেকে হেফাজতের কর্মীরা ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এরপর দুপুর থেকে তাঁরা রাজধানীর মতিঝিলে সমাবেশ করছেন। 
এ ছাড়াও দুপুরের পর থেকে পল্টনের আশপাশের এলাকায় হেফাজতের কর্মীরা তাণ্ডব চালান। তাঁরা পুরানা পল্টনের হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ভবন, জিপিও, বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটের দোতলায় আগুন দিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি আগুন নেভাতে বায়তুল মোকাররম মার্কেটের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে হেফাজতের কর্মীরা তাতে বাধার সৃষ্টি করেন। 
এর পরই খালেদা জিয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের এ নির্দেশ দিলেন।


সংলাপের প্রস্তাবে সাড়া দিতে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সংসদ বা সংসদের বাইরে যেকোনো স্থানে আলোচনায় বসার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
গতকাল শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের বরগুনা জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। গণভবনে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নেত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আমরা আলোচনার কথা বলেছি, প্রস্তাবে সাড়া দিন। আর কত মানুষ হত্যা করবেন? মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। সুস্থ রাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন।'
বিএনপির গতকালের সমাবেশের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা বিএনপিকে সমাবেশ না করে এর জন্য খরচ হওয়া টাকা সাভারে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি (খালেদা জিয়া) সমাবেশ করবেন। আমাদের গালমন্দ করবেন, গাড়ি ভাঙচুর করবেন, নৈরাজ্য সৃষ্টি করবেন।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো মূল্যে দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। কেউ যদি একবার বুঝতে পারে, ক্ষমতা দখল করা যায়, তবে সে আর কখনো জনগণের কাছে যাবে না।
সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক, তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা চলছে। যাঁরা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের পদক্ষেপ সরকার নিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, 'বিরোধী দলের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করা। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় তারা আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করছে, জামায়াতকে নিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে।' বিরোধী দলের কর্মসূচির বিরুদ্ধে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং জনমত সৃষ্টি করতে হবে। যদিও জনমত আমাদের দিকেই আছে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এদের প্রতিহত করতে হবে।'
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে জেলার শতাধিক নেতা-কর্মী মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল নেতাদের জানান, বরগুনা ও পটুয়াখালীর মাঝামাঝি অবস্থানে সমুদ্রবন্দর, ওই এলাকার নৌবাহিনীর বর্তমান ঘাঁটিকে পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি করা এবং সেখানে জাহাজনির্মাণ ও জাহাজভাঙা শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
সভা শেষে জাহাঙ্গীর কবির প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দল ক্ষমতায় থাকার সুবাদে কোনো কোনো এলাকায় অনেক রাজাকারও আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছেন। তিনি রাজাকারদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য তৃণমূল নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। 
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্যাহ, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তৃণমূল নেতারা কথা বলতে পারেননি: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের মতবিনিময়ের আয়োজন করা হলেও সভায় তৃণমূলের নেতারা স্থানীয়ভাবে দলের অবস্থা অথবা সরকারের কর্মকাণ্ড ও জাতীয় রাজনীতির বিষয়ে মানুষের প্রকৃত অবস্থা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতে পারেননি। কারণ, জেলার ছয়টি উপজেলার সভাপতিদের মাত্র এক মিনিট করে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূলের একাধিক নেতা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। 
একাধিক নেতা প্রথম আলোকে জানান, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি তিন বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ। সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির ২৫ বছর ধরে একই পদে আছেন। বেতাগী, বামনা ও আমতলীতে সম্মেলন হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। বরগুনা সদর উপজেলায় তিনবার তারিখ নির্ধারণ করে পোস্টার ছাপানোর পরও শেষ পর্যন্ত সম্মেলন হয়নি। পাথরঘাটা ও তালতলীতেও দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন হয়নি। যে কারণে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্থবিরতা চলছে। এর জন্য উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা জেলা নেতৃত্বকে দায়ী করেন। তবে তৃণমূল নেতারা এসব অভিযোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর সুযোগ পাননি। 
উপজেলার নেতারা জানান, মতবিনিময় সভার প্রাপ্তি হলো গণভবনে চা-নাশতা ও দুপুরের খাবার। মাত্র এক মিনিট কথা বলার সুযোগ থাকায় বড় নেতাদের অনিয়ম ও সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ ছিল না। 
জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির প্রথম আলোকে বলেন, 'উপজেলার নেতারা ফাও অভিযোগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের কথা বলার সুযোগ ছিল, বলেননি কেন? বরগুনা জেলায় সংগঠনের অবস্থা মোটেই দুর্বল নয়।'

78Like ·  · 

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো কেমন ছিল?
তারিখ ১৯শে মে, ১৯৭১

This Day in The BANGLADESH LIBERATION WAR-1971
19th May-1971

...See More

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcom

Website counter

Census 2010

Followers

Blog Archive

Contributors