আজ মহাবোধি সোসাইটি হলে কলেজ স্কায়ার কোলকাতায় সন্ধ্যা ছ টায় ওবিসি , আদিবাসিদের ও দলিতদের বিরুদ্ধে আশিস নন্দীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে ধিক্কার সভা হয়ে গেল!আমরা বেশ ভালো করে জানি বাংলার অচলায়তন ভাঙ্গতে মনুস্মৃতি কর্তৃত্বকে আঘাত করতে নিজেদের অধিকারের দাবিতে বাংলায় বহুজন সমাজ গঠনের কাজ শুরু হতে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হবে!
পলাশ বিশ্বাস
আজ মহাবোধি সোসাইটি হলে কলেজ স্কায়ার কোলকাতায় সন্ধ্যা ছ টায় ওবিসি , আদিবাসিদের ও দলিতদের বিরুদ্ধে আশিস নন্দীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে ধিক্কার সভা হয়ে গেল!আমরা বেশ ভালো করে জানি বাংলার অচলায়তন ভাঙ্গতে মনুস্মৃতি কর্তৃত্বকে আঘাত করতে নিজেদের অধিকারের দাবিতে বাংলায় বহুজন সমাজ গঠনের কাজ শুরু হতে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হবেওপার বাংলা আবার জাগ্রত ইসলামী বাংলাদেশী জাতিয়তার বিরুদ্ধে বাঙ্গালি জাতিসত্তার লড়াইয়ে রাস্তায় নেমেছে সারা বাংলা দেশ!অথচ এপার বাংলায় বাঙ্গালিত্ব বলতেই বোঝায় ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক আধিপাত্য!এই আধিপাত্যর দরুণ আশিসনন্দীর বক্তব্য নিয়ে, ওবিসি, উপজাতি ও তফসিলীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে এখনই কোন বিতর্ক এই বাংলায় হবে না, যেখানে আড়াআড়ি পক্ষ বিপক্ষে বিভক্ত জনমানসে তৃতীয় পক্ষের কোনও সুযোগ নেই!যেমন সুযোগ নেই সমতা, সামাজিক ন্যায়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের ধর্মনিরপেক্ষতার!বাংলাদেশে চরম আক্রমনের মুখেও জাগ্রত বাঙ্গালি জাতি সত্তা, তাই বাংলাদেশী ইসলামী জাতীয়তার জিগির সত্ত্বেও সেখানে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবেশ কখনো নষ্ট হয়নি!পৃথীবীর আর কোনো দেশে সংখ্যালঘুদের নাগরিক মানবাধিকার রক্ষার লড়াইয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবিদের আত্মবলিদানের নজির নেই!অথচ বাংলায় অন্য পক্ষ, বহুজনসমাজের কোনও কথা কোথাও বলার লেখার সুযোগ নেই!মাতৃভাষার অধিকারের দাবিতে লক্ষ লক্ষ প্রামের বিনিময়ে ভূমিষ্ঠ হয় বাংলাদেশ!আসামের কাছাড়েও বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে উদ্বাস্তু বাঙ্গালিরা!পশ্চিম বাংলার সেই ইতিহাস নেই!ভারতের রাষ্ট্রপতি বাঙ্গালি ব্রাহ্মণ সন্তান, হিন্দুত্ভের সর্বোচ্চ ধর্মাধিকারি, চন্ডী পাঠ দিয়ে যার দিন শুরু হয় আর রাষ্ট্রপতি ভবনকে যিনি চন্ডীমন্ডপে পরিণত করেছেন!ভারতের রাজনীতিতে পশ্চিম বাংলার কর্তৃত্ব প্রবল!কিন্তু তাঁদের কেউই বাঙ্গালি উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্বের দাবি তোলেন নি!উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতেই তাঁরা বরং সর্বদলীয় সম্মতিতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাশ করেছেন, চালূ করেছেন আধার যোজনা!বাংলার বাইরে বাঙ্গালিরা সংরক্ষণ থেকে বন্চিত!তাঁদের নাগরিকত্ব ওবং একমাত্র তাংদেরই নাগরিকত্ব সন্দিগ্দ্ধ!এই পশ্চিম বাংলায় সন্দিগ্দ্ধ নাগরিকত্বের অজুহাতে লাখো লাখো উদ্বাস্তুর নাম ভোটার লিস্ট থেকে কাটা হল , প্রতিবাদ হয়নি!তিন দশক ব্যাতীত দন্ডকারণ্য থেকে নির্বাচনী অঙ্কের খাতিরে ডেকে এনে বাঙ্গালি উদ্বাস্তুদের মরিচঝাঁপিতে কোতল করা হল!মায়েরা ধর্ষিতা হলেন!শিসুরা অনাথ হল!রক্তে ভিজে গেল মাটি!প্রবল ভাবে স্থানীয় রাজনীতিতে ক্ষমতার লঢ়াইয়ে আমরা ওরাঁয় দ্বিধা বিভক্ত নাগরিক সুশীল সমাজ তিন দশকেও মুখ খোলেনি!বাংলার বাইরে বাঙালিদের মাতৃভায়ার অধিকারের দাবিতে সরব হয়নি!তাঁরা মাত্র বাংলার বাইরে পাঁচ লক্ষ উদ্বাস্তু আছে, এই কথা বলে কোটি কোটি বাঙ্গালির অস্তিত্ব অস্বীকার করতেই অভ্যস্ত!একশো বছর যাদের ক্ষমতায়ন হয়নি, হুর্নীতি প্রসঙ্গে তাংদের কথা বলে বড় মুশকিলে ফেলে দিয়েছেন শাসক শ্রেনীকে সমাজবিজ্ঞানী আশিসনন্দী, তাই ঘটা করে জানিয়ে দিতে হল তিনি জাতে তেলী, নবশাঁখ! অর্থাত তাঁর কথাকে, তাঁর দেওয়া তথ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না!আজও রক্তে ভেসে যাচ্ছে জমিন!আজও লজ্জিত মানুষ!আজও ধর্ষিতা মায়েরা!কিন্তু এই বাংলায় কোনো লজ্জা লেখা হবে না! রোজ টিভি দেখতে ভয় হয়, আবার কোথায় রক্তপাত হল !আবার আাদেরই কে মারা পড়ল! কোন মেয়েটি াবার ধর্ষিতা হল!
No comments:
Post a Comment