Monday, March 30, 2015

এখন সময় গর্জে ওঠার নাস্তিকাতার দায়ে!



'নাস্তিকাতার দায়ে!    অভিজিতের মৃত্যু একটি ব্যক্তিমানুষের মৃত্যু নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির সামগ্রিক বন্ধ্যাদশার প্রতিফলন। অভিজিতের মৃত্যু প্রমাণ করে জাতি হিসেবে আমরা এখনো মধ্যযুগীয় মানসিকতার শিকার। যারা যারা মনে করেন ধর্মের অভ্যন্তরীণ দূর্বলতা, অযৌক্তিক বিধানগুলি সম্বন্ধে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না, মানুষের অন্ধবিশ্বাসের মোহপাশ থেকে মানুষকে মুক্তচিন্তার আলো দেখানোর প্রয়াস ধর্মের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন; তাই তা অমার্জনীয় অপরাধ- তারা এবং তাদের এই মানসিকতাই জাতি হিসেবে বাঙালির সবচেয়ে বড়ো অভিশাপ।     অভিজিতকে কারা খুন করলো, প্রশাসন চাইলে তাদের ধরা যাবে। মার্কীণ নাগরিক হিসেবে, তাঁর খুনিদের যথাযোগ্য শাস্তি হওয়াও অসম্ভব নয়, যদি তাঁর বর্তমান রাষ্ট্র মহাশক্তিধর দেশটির প্রশাসন সেই বিষয়টিকে তাদের আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক স্বার্থের পরিপন্থী বলে মনে না করে। কিন্তু এই যে আমরা বাঙালি যারা মনে মনে বিধর্মী ও নাস্তিকদের প্রবল ভাবেই ঘৃণা করি, যারা পরমত অসহিষ্ণু, যারা যুক্তির থেকে বিশ্বাসকে বেশি গুরুত্ব দিই, যারা মনে করি আমার ধর্মের ঈশ্বরই শ্রেষ্ঠ, যারা মনে করি নিজ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মপুস্তকের থেকে অভ্রান্ত বিশ্বভুবনে আর কিছুই হতে পারে না……..যারা মনে করি আমার ধর্মের বাইরে আর কেউই মানুষ নয়, যারা ভাবি ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া মানুষ খুনের থেকেও বড়ো অপরাধ, যাদের কাছে নাস্তিকতা একটি সামাজিক ব্যধি- সেই সমস্ত মানুষ মিলে একটি জাতিকে যে ভাবে পঙ্গু করে রেখেছি, তার প্রতিবিধান হবে কি করে?    প্রতিবিধানের একটিই মাত্র উপায়, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার উপযুক্ত করে তোলা। মুক্তচিন্তা চর্চার পরিসরটিকে ক্রমাগত শক্তিশালী করে তোলা। বিশ্বাসের ভিতে যুক্তির আলো প্রবেশ করানোর জন্যে জাতিকে আরও এবং আরও বেশি করে বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলা।    আমাদের বুঝতে হবে অভিজিতের মৃত্যু হিন্ধু ধর্মের উপর আঘাত নয়, যারা এই মৃত্যুকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রদায়িক আঘাত মনে করে বিশ্ব থেকে ইসলামের নির্মুলীকরণ চাইছেন, বুঝতে হবে তারাও অভিজিতের হত্যাকারীদেরই সমগোত্রীয়! যারা এই ঘটনায় মুসলিমদের সম্বন্ধে অশ্রদ্ধা পোষন করে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে উদগ্রীব তারাও সমান ভাবেই নিন্দনীয়। এই মৃত্যু তাই একটি ব্যক্তি মানুষের মৃত্যু নয়, একটি জাতির অভ্যন্তরীণ অসুস্থতার এক মর্মান্তিক প্রতিফলন।    শুধু নিন্দার ঝড় তুলে মোমবাতি মিছিল করেই নিজেদের কর্তব্য সমাপনের সময় নয় এটা। আত্মসমীক্ষার সময় এখন। আগে মুখ আনায় মুখ রেখে দেখতে হবে, যে বিশ্বাস থেকে অভিজিতদের হত্যা করা হয়, দেশকাল পাত্র নির্বিশেষে, আমিও সেই বিশ্বাসের বীজমন্ত্রের অভিশপ্ত ভাইরাস নিজ আত্মার গহনে বহন করছি না'তো? অভিজিতদের খুনী দুই একজন। কিন্তু সেই বিষাক্ত রোগের সংক্রমণ একটা গোটা জাতির শিরায় শিরায়, তাই ধর্ম নিয়ে, ধর্মের অযৌক্তক বিধান নিয়ে, অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুললেই আমাদের চোখে অভিজিতরা নাস্তিকতার দায়ে দণ্ডিত হয়ে যায়!'

নাস্তিকাতার দায়ে!
অভিজিতের মৃত্যু একটি ব্যক্তিমানুষের মৃত্যু নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির সামগ্রিক বন্ধ্যাদশার প্রতিফলন। অভিজিতের মৃত্যু প্রমাণ করে জাতি হিসেবে আমরা এখনো মধ্যযুগীয় মানসিকতার শিকার। যারা যারা মনে করেন ধর্মের অভ্যন্তরীণ দূর্বলতা, অযৌক্তিক বিধানগুলি সম্বন্ধে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না, মানুষের অন্ধবিশ্বাসের মোহপাশ থেকে মানুষকে মুক্তচিন্তার আলো দেখানোর প্রয়াস ধর্মের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন; তাই তা অমার্জনীয় অপরাধ- তারা এবং তাদের এই মানসিকতাই জাতি হিসেবে বাঙালির সবচেয়ে বড়ো অভিশাপ।
অভিজিতকে কারা খুন করলো, প্রশাসন চাইলে তাদের ধরা যাবে। মার্কীণ নাগরিক হিসেবে, তাঁর খুনিদের যথাযোগ্য শাস্তি হওয়াও অসম্ভব নয়, যদি তাঁর বর্তমান রাষ্ট্র মহাশক্তিধর দেশটির প্রশাসন সেই বিষয়টিকে তাদের আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক স্বার্থের পরিপন্থী বলে মনে না করে। কিন্তু এই যে আমরা বাঙালি যারা মনে মনে বিধর্মী ও নাস্তিকদের প্রবল ভাবেই ঘৃণা করি, যারা পরমত অসহিষ্ণু, যারা যুক্তির থেকে বিশ্বাসকে বেশি গুরুত্ব দিই, যারা মনে করি আমার ধর্মের ঈশ্বরই শ্রেষ্ঠ, যারা মনে করি নিজ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মপুস্তকের থেকে অভ্রান্ত বিশ্বভুবনে আর কিছুই হতে পারে না……..যারা মনে করি আমার ধর্মের বাইরে আর কেউই মানুষ নয়, যারা ভাবি ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া মানুষ খুনের থেকেও বড়ো অপরাধ, যাদের কাছে নাস্তিকতা একটি সামাজিক ব্যধি- সেই সমস্ত মানুষ মিলে একটি জাতিকে যে ভাবে পঙ্গু করে রেখেছি, তার প্রতিবিধান হবে কি করে?
প্রতিবিধানের একটিই মাত্র উপায়, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার উপযুক্ত করে তোলা। মুক্তচিন্তা চর্চার পরিসরটিকে ক্রমাগত শক্তিশালী করে তোলা। বিশ্বাসের ভিতে যুক্তির আলো প্রবেশ করানোর জন্যে জাতিকে আরও এবং আরও বেশি করে বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলা।
আমাদের বুঝতে হবে অভিজিতের মৃত্যু হিন্ধু ধর্মের উপর আঘাত নয়, যারা এই মৃত্যুকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রদায়িক আঘাত মনে করে বিশ্ব থেকে ইসলামের নির্মুলীকরণ চাইছেন, বুঝতে হবে তারাও অভিজিতের হত্যাকারীদেরই সমগোত্রীয়! যারা এই ঘটনায় মুসলিমদের সম্বন্ধে অশ্রদ্ধা পোষন করে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে উদগ্রীব তারাও সমান ভাবেই নিন্দনীয়। এই মৃত্যু তাই একটি ব্যক্তি মানুষের মৃত্যু নয়, একটি জাতির অভ্যন্তরীণ অসুস্থতার এক মর্মান্তিক প্রতিফলন।
শুধু নিন্দার ঝড় তুলে মোমবাতি মিছিল করেই নিজেদের কর্তব্য সমাপনের সময় নয় এটা। আত্মসমীক্ষার সময় এখন। আগে মুখ আনায় মুখ রেখে দেখতে হবে, যে বিশ্বাস থেকে অভিজিতদের হত্যা করা হয়, দেশকাল পাত্র নির্বিশেষে, আমিও সেই বিশ্বাসের বীজমন্ত্রের অভিশপ্ত ভাইরাস নিজ আত্মার গহনে বহন করছি না'তো? অভিজিতদের খুনী দুই একজন। কিন্তু সেই বিষাক্ত রোগের সংক্রমণ একটা গোটা জাতির শিরায় শিরায়, তাই ধর্ম নিয়ে, ধর্মের অযৌক্তক বিধান নিয়ে, অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুললেই আমাদের চোখে অভিজিতরা নাস্তিকতার দায়ে দণ্ডিত হয়ে যায়!

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcom

Website counter

Census 2010

Followers

Blog Archive

Contributors