Sunday, October 12, 2014

এখানে প্রশ্ন উঠে, যে লোক এত মানবতাবাদী কাজ করে নোবেল পুরস্কার পর্য্যন্ত পেয়ে গেল, তার কাজের তথ্য মানুষের কাছে অজানা থাকবে কেন ? ভারতের মিডিয়াও কি জানত না, কৈলাশ সত্যার্থীর অবদানের কথা ?

প্রসঙ্গ : কৈলাশ সত্যার্থীর নোবেল লাভ 
--------------------------------------------
সন্জয় দে

রবীন্দ্রনাথ, মাদার টেরেসা বা বাংলাদেশের ইউনিস যারাই নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, আমাদের মোটামুটি একটা ধারণা ছিল যে তাঁরা কি অবদানের জন্য এই পুরস্কারটি পেয়েছেন. কিন্তু সম্প্রতি কৈলাশ সত্যার্থী যে নোবেল পাচ্ছেন, তার ব্যাপারটা কিন্তু পুরো উল্টো. তিনি নোবেল পাওয়ার পর আমরা জানতে পেরেছি যে ছোটবেলা থেকেই নাকি শিশুদের অধিকার নিয়ে তার মধ্যে সচেতনতা ছিল। শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি নাকি কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছেন। অথচ ভারতের কোন শিশুই আজ পর্য্যন্ত তার নামটা জানে কিনা তাতে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ করেছে. 

banglamail24.com logo কৈলাশ সত্যার্থী সম্পর্কে জানিয়েছেন যে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন পাকিস্তানের শিক্ষাকর্মী মালালা ইউসুফজাই ও ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থী।

কৈলাশ সত্যার্থীর জন্ম ১৯৫৪ সালের ১১ জানুয়ারি। তিনি ৮০ হাজারেরও বেশি শিশুর অধিকার রক্ষায় কাজ করেছেন, তাদের দাসত্বের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। পড়াশোনা করেছেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে।

শুধু তাই নয়, banglamail24.com logo কৈলাশ সত্যার্থী সম্পর্কে পাঁচ অজানা তথ্যও দিয়েছেন, সে গুলো হলো --
১. মাদার তেরেসার পর তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তি হেসেবে ভারতে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন। তবে ভারতে জন্ম নেয়া ব্যক্তি হিসেবে তিনি প্রথম। দুস্থ ও অসুস্থদের জন্য জীবন উৎসর্গ করা মাদার তেরেসা জন্মেছিলেন আলবেনিয়ায়।

২. শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি বউ-বাচ্চা নিয়ে দিল্লিতে বাস করেন।

৩. ছোটবেলা থেকেই শিশুদের অধিকার নিয়ে তার মধ্যে সচেতনতা ছিল। ছয় বছর বয়সে তিনি একদিন জানতে পারেন, তার স্কুলের পাশে তার বয়সী একটি শিশু জুতা পরিষ্কারের কাজ করে। এরপর তিনি বুঝতে পারেন তার বয়সী অনেক শিশুই স্কুলে যেতে পারে না। তখনই তিনি ভেবে নেন, বড় হয়ে শিশুদের অধিকার রক্ষায় তিনি কাজ করবেন।

৪. সারা বিশ্বের শিশু অধিকার কর্মীদের মধ্যে তিনি খুবই পরিচিত একজন মানুষ। এখনও তিনি শিশুদের দাসত্ব থেকে মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে বিশ্বাসী।

৫. তিনি 'সাউথ এশিয়ান কোয়ালিশন অন চাইল্ড সার্ভিচুড' (এসএএসিএস) প্রতিষ্ঠার অন্যতম অগ্রগামী কর্মী।

এখানে প্রশ্ন উঠে, যে লোক এত মানবতাবাদী কাজ করে নোবেল পুরস্কার পর্য্যন্ত পেয়ে গেল, তার কাজের তথ্য মানুষের কাছে অজানা থাকবে কেন ? ভারতের মিডিয়াও কি জানত না, কৈলাশ সত্যার্থীর অবদানের কথা ? কোন স্কুলেও তো ভুলেও ছাত্রদের কাছে কৈলাশ সত্যার্থীর নাম উচ্চারণ করা হয় নি. অথচ তিনি নাকি ৮০ হাজারেরও বেশি শিশুর অধিকার রক্ষায় কাজ করেছেন.

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcom

Website counter

Census 2010

Followers

Blog Archive

Contributors