Sunday, September 15, 2013

আশায় বুক বাঁধছে কামদুনি, রানিতলা-খরজুনাও

আশায় বুক বাঁধছে কামদুনি, রানিতলা-খরজুনাও
আশায় বুক বাঁধছে কামদুনি, রানিতলা-খরজুনাও
শীর্ষেন্দু গোস্বামী ও অতনু সাহা


বহরমপুর ও বারাসত: নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অপরাধীদের ফাঁসির রায়ে আশায় বুক বাঁধছে কামদুনি-রানিতলা-খরজুনা৷ এই রায় যথার্থ বলে মনে করে এই তিন এলাকার বাসিন্দারাও চাইছেন অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড৷ দিনভর তিনটি জায়গারই চোখ ছিল টেলিভিশনের পর্দায়৷

কামদুনির 'অপরাজিতা'র বাবা-মা দু'জনেই শুক্রবার জানিয়েছেন, 'দিল্লির ঘটনায় তো নয় মাসের মধ্যে রায় ঘোষণা হল৷ আমাদের মেয়ের ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এক মাসের মধ্যে ফাঁসির ব্যবস্থা হবে৷ তিন মাস তো হয়ে গেল৷ দেখি কী হয়! তবে আমরা অপরাধীদের ফাঁসিই চাই৷' কামদুনির প্রতিবাদী আন্দোলনের নেত্রী টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালও জানিয়েছেন, 'কামদুনির ঘটনায় আমরা সকলেই ফাঁসি চাই৷'

এই রায়ের প্রতীক্ষায় ছিল মুর্শিদাবাদের খরজুনাও৷ গত ২৩ জুন ভোরে স্থানীয় এক উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক গৃহবধূকে৷ যে ঘটনায় প্রকাশ দাশ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ পুলিশের জেরার মুখে সে খুনের কথা স্বীকারও করে৷ এদিন টেলিভিশনে দিল্লির ঘটনার রায় শুনে মহিলার দুই সন্তানও ঠাকুমার কোলে বসে জানাল, 'আমাদের মাকে যে খুন করেছে, তারও যেন ফাঁসিই হয়৷' ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলার স্বামীও৷ এদিন তিনি বলেন, 'ফাঁসি না-হলে, ও তো বেরিয়ে এসে আবার কোনও মহিলার জীবন নষ্ট করবে৷' স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জিতেন ঘোষের মতে, একজনের ফাঁসি হলে, এমন ঘৃণ্য অপরাধ করার আগে দু'বার ভাবতে বাধ্য হবে অপরাধীরা৷

সন্ধ্যায় বাথরুম করতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি মুর্শিদাবাদের রানিতলার নবম শ্রেণির ছাত্রীটিও৷ দিন চারেক বাদে দুই কিলোমিটার দূরে পাটখেতে শেয়ালে খাওয়া লাশ মেলে তাঁর৷ পরিবারের তরফে শনাক্তকরণের পরে হকদার শেখ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ পরিবারের তরফে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ করা হয়৷ সেই ছাত্রীর সহপাঠীরাও দোষীকে উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামে৷ শাস্তির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী থেকে দিল্লি পর্যন্ত দরবারও করে রানিতলা৷ এদিন সকাল থেকে সেই বাড়িতেও চলেছে টেলিভিশন৷ মেয়ের মা আর দাদা বলেছেন, 'ওদের যখন ফাঁসির আদেশ হয়েছে, তখন হকদারেরও নিশ্চয়ই ফাঁসি হবে৷ তা হলে আমাদের মেয়েটার আত্মা হয়তো শান্তি পাবে৷'

রানিতলা ও খরজুনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেছেন, অপরাধীরা যাতে কঠোর শাস্তি পায়, সে জন্য চেষ্টা করছে পুলিশ৷ রানিতলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলেও, খরজুনার ঘটনায় ফরেন্সিক রিপোর্ট এখনও না মেলায় চার্জশিট দাখিল করা যায়নি৷

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcom

Website counter

Census 2010

Followers

Blog Archive

Contributors