Tuesday, December 23, 2014

cotnd.the Impact of Hindutva drive abroad!


প্রাসঙ্গিক ভাবনা
প্রতিবেশী ভারতে এসব কি হচ্ছে?
ড. মোঃ নূরুল আমিন : প্রতিবেশী ভারতের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা সেই দেশটির অহিন্দু সংখ্যালঘু এবং বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মুসলমানদের জন্য উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বলাবাহুল্য ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ। প্রায় ৭০০ বছর মুসলিম শাসনের পর ১৯০ বছর বৃটিশ শাসনাধীনে থেকে অনেক আন্দোলন ও রক্তপাতের মুখে ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে উপমহাদেশ স্বাধীন হয় এবং তৎকালীন পাকিস্তান ও ভারতীয় ইউনিয়নের জন্ম হয়। এর ২৪ বছর পর ১৯৭১ সালে নয় মাসমেয়াদি একটি সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল স্বাধীন বাংলাদেশ হিসাবে আত্ম প্রকাশ করে। বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে তিন দিক থেকে ভারত দ্বারা বেষ্টিত এবং বাকি আধাদিকে রয়েছে মিয়ানমার ও বঙ্গোপসাগর। বাংলাদেশের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, দেশটি মুসলিম প্রধান, এর মোট জনসংখ্যার ৯০ ভাগ মুসলমান, ৮ ভাগ হিন্দু এবং অবশিষ্ট ২ ভাগ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৬ কোটি। পক্ষান্তরে ভারতের জনসংখ্যা ১২০ কোটি। এই দেশটির আয়তন ৩২,৮৭,৫৯০ বর্গ কিলোমিটার যা বাংলাদেশের তুলনায় সোয়া বাইশ গুণ এবং পাকিস্তানের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বড়। ভারতে মুসলমান জনসংখ্যা সম্পর্কে বেশকিছু বিভ্রান্তি আছে। সরকারি আদম শুমারী অনুযায়ী তাদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ বা ১৮ কোটি। অন্যদিকে মুসলমানদের দাবি অনুযায়ী তারা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ তথা ৩৬ কোটি। ভারতে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামসহ এমন কয়েকটি প্রদেশের অনেকগুলো জেলা রয়েছে যেখানে মুসলিম জনসংখ্যার হার ৭০ শতাংশের বেশি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে- ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকেই ভারতীয় মুসলমানরা বর্ণ হিন্দুদের নির্যাতনের শিকার, তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। ধর্মীয় ভাবেও তারা নাগরিক সুবিধাবলী থেকে বঞ্চিত। তাদেরকে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে বাধা দেয়া হয়। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সেখানে নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। এমন কোনও দিন নেই যেদিন ভারতের কোন না কোন অঞ্চলে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা হচ্ছে না। বলাবাহুল্য সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং হিন্দু-মুসলমান-খৃস্টান নির্বিশেষে সকল ধর্মের অনুসারীরা দেশটিতে সমান নাগরিক সুবিধা পাবার কথা থাকলেও সে দেশের মুসলমানদের দাবি অনুযায়ী সেখানে তারা নির্যাতনের পাশাপাশি বিরাট বৈষম্যেরও শিকার।
আমি ভারতের সাম্প্রতিক কিছু উদ্বেগজনক ঘটনার উল্লেখ করছিলাম। এই ঘটনাগুলো অনাকাক্সিক্ষত। অনাকাক্সিক্ষত এজন্য যে, একটি ধর্মভিত্তিক দল বহু ধর্ম, জাতি ও ভাষাভাষীর এই দেশটির শাসন ক্ষমতায় রয়েছে এবং সারা দুনিয়া বিশ্বাস করে যে, ভারতের মতো একটি বিশাল দেশে ধর্মাশ্রয়ী একটি দল, রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে গণতান্ত্রিক দুনিয়ায় এমন একটি নজির স্থাপন করবে যাতে অন্য দেশগুলোও অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে, কিন্তু কার্যত: তা হচ্ছে না বলেই মনে হয়। এর কারণগুলো খুবই স্পষ্ট এবং ক্ষমতার চূড়ায় অবস্থানকারী বিজেপি সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কার্যকলাপ থেকে তা দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ:
(১) সম্প্রতি মহাভারতের অংশ হিন্দুদের পবিত্রগ্রন্থ শ্রীমত ভগবত গীতাকে ভারতের পররাষ্ট্র্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জাতীয় পবিত্র গ্রন্থ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ৭০০ শ্লোক বিশিষ্ট এই গ্রন্থটির ৫১৫১ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় এই ঘোষণা দেন। সুষমা স্বরাজের এই ঘোষণা সারা ভারতবর্ষ উত্তপ্ত করে তুলেছে। ভারতের মুসলিম এবং খৃস্টান সম্প্রদায়সহ সকল বিরোধী দল সরকারের এই উদ্যোগকে দেশটির শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিষিয়ে তোলার একটি প্রয়াস হিসেবে দেখছেন। অনেকে আশংকা করছেন যে, বহুজাতিক রাষ্ট্র ভারতকে একটি হিন্দু জাতি রাষ্ট্রে রূপান্তর করার এটি হচ্ছে প্রাথমিক পদক্ষেপ। একদিকে তারা দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্ট পাকিস্তান-বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক ভুল হিসাবে আখ্যায়িত করছেন, অন্যদিকে তারা সমগ্র ভারতবর্ষকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলছেন। তাদের এই দ্বৈতনীতি উপমহাদেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে বলেও বিশ্লেষকরা মনে করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রীর ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, "সংবিধান অনুযায়ী ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটি দেশের সংবিধানই কেবলমাত্র জাতীয় পবিত্র গ্রন্থ হতে পারে যার অনুসরণ ও অনুশীলন প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। আমরা সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করি এবং তার সাথে কুরআন, বেদ, বাইবেল, গুরু গ্রন্থ সাহিব ও গীতাকে সম্মান করি। আমরা এজন্য গর্বিত।" মমতার ন্যায় বহুজন সমাজ পার্টি, আমআদমী পার্টি, কংগ্রেস, জনতা দল (ইউনাইটেড) এবং বামপন্থী দলগুলো বিজেপি সরকার ও দেশটির উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর তীব্র সমালোচনা করেছেন। অন্যদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবা  সংঘ (RSS) সহ সংঘ পরিবারভুক্ত দলগুলো তাদের উগ্র সাম্প্রদায়িকতা অব্যাহত রেখেছে। মুসলমান এবং খৃস্টান সম্প্রদায় চরম আতঙ্কের মধ্যে কালাতিপাত করছেন। গীতার জাতীয় পবিত্র গ্রন্থ হবার তাৎপর্য বহুমুখী। এর অর্থ ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল ভারতবাসীকে বাধ্যতামূলকভাবে গীতা পাঠ ও তা অনুসরণ করতে হবে। ভারতের দলিত সম্প্রদায় ও পাহাড়ী জনগোষ্ঠী মুসলমান-খৃস্টানদের ন্যায় গীতায় বিশ্বাস করে না। তাদের উপর গীতা চাপিয়ে দেয়া হলে তার পরিণতি ভয়াবহ হতে বাধ্য।
(২) গীতাকে National Scripture ঘোষণার পাশাপাশি ভারতের যে কাজটি বিশ্বব্যাপী উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে সেটা হচ্ছে বলপূর্বক মুসলমানদের হিন্দু ধর্মে দীক্ষিতকরণ। আগ্রায় সম্প্রতি ৫৭টি মুসলিম পরিবারের প্রায় ৩০০ মুসলমানকে ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে হিন্দু বানানো হয়েছে। গণমাধ্যমে তাদের ধর্মান্তরকরণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে যে সাক্ষাৎকার এসেছে তা ভয়াবহ এবং সভ্য দুনিয়ার জন্য লজ্জাজনক। তাদের দিয়ে হিন্দু দেবমূর্তির পা ধোয়ানো হয়েছে এবং কপালে সিঁদুর পরতে বাধ্য করা হয়েছে। আরএসএস ও বজরং দলসহ সংঘ পরিবারভুক্ত উগ্র হিন্দুবাদী দলগুলো ধর্মান্তরকরণের এই প্রক্রিয়া সারা ভারতবর্ষব্যাপী অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা করেছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর আলীগড়ে তারা ৫০০০ মুসলমান এবং ১০০০ খৃস্টান ধর্মাবলম্বীকে হিন্দু ধর্মে দীক্ষা দানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ধর্মান্তরকরণের এই কর্মসূচিকে তারা নাম দিয়েছে পূর্ব-পুরুষদের ধর্মে প্রত্যাবর্তন কর্মসূচি এই অবস্থায় সেখানকার মুসলিম সমাজ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। গোরক্ষপুরের এমপি আদিত্য নাথ এই কর্মসূচির উদ্বোধন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
(৩) যোগশাস্ত্রকে মধ্য প্রদেশসহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের স্কুল কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে- হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়াও এখন থেকে মুসলমান, খৃস্টান ছাত্র-ছাত্রীদের ষাষ্টাঙ্গে প্রণাম এবং সূর্য উপাসনা ও নমস্কার অনুশীলন করতে হবে যা তাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বেদায়াত ও শিরকের সামিল। এ প্রথা চালু হলে মুসলমান ছেলে-মেয়েদের আর মুসলমানিত্ব থাকবে না।
(৪) ভারত সরকার সারা দেশে হিন্দু-মুসলমান-খৃস্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মাবলম্বীর জন্য ইউনিফরম সিভিল কোড চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই আইনটি চালু হলে মুসলমানদের বিদ্যমান পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইন আর কার্যকর থাকবে না এবং এর ফলে মুসলমান হিসেবে তাদের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়বে।
৫) চলতি ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখে হিন্দুত্ববাদী দলগুলো পুনরায় মুসলিম নেতা মুহসীন শেখকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বর্তমানে কারাগারে আটক ধনঞ্জয় দেশাইকে সাহসিকতার জন্য 'হিন্দুত্ব সূর্য পুরস্কার' প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। দেশাই হিন্দু রাষ্ট্র সেনা নামক একটি সংস্থার প্রধান। পুনা পুলিশ মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা ও ২৮ বছর বয়সী মুসলিম নেতা মুহসীন সাদিক শেখকে হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্ষণ প্রভৃতি অপরাধের জন্য ২০ জন অনুসারীসহ তাকে গ্রেফতার করেছিল। হিন্দুত্ববাদী উগ্র দলগুলো তাকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তার স্ত্রী রাসিকা দেবী সামাস্তা হিন্দু আগদ্দীর উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রীরাম সেনার প্রধান প্রমদি মুতালিকের কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন। মুসলিম নেতাকে হত্যা এবং মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাহসিকতার পুরস্কার প্রদানের ঘটনায় সারা ভারতে অহিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বিনু পিলিফ নামক একজন খৃস্টান নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন যে, সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হবে এবং খৃস্টান এবং মুসলমানরা উগ্র হিন্দুদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হবেন। অবস্থা ঐদিকে গড়াচ্ছে বলে মনে হয়।
৬) অযোধ্যার বহুল আলোচিত রাম মন্দির ইস্যুটি তারা পুনরুজ্জীবিত করছেন, আদালতের রায় উপেক্ষা করে বাবরী মসজিদের স্থানেই তারা রামমন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিহাস বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে, হিন্দুদের এই দাবির পেছনে কোনও সত্যতা নেই। তাদের যুক্তি হচ্ছে, অযোধ্যা বা ভারতবর্ষের কোথাও রামের জন্মভূমি থাকতে পারে না, কেননা হিন্দু আর্যরা প্রকৃতপক্ষে বহিরাগত। তাদের আগে দ্রাবিড়রা এই অঞ্চলে বসবাস করতেন।
ভারতের উপরোক্ত ঘটনাবলী নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। উপমহাদেশ বিভক্তির যৌক্তিক ভিত্তি আমাদের সকলেরই জানা। ভারত হিন্দুধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম যদি করতে চায় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতবাসীর তাতে সায় থাকে তাহলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি এটা তারা করতে পারেন। এক্ষেত্রে অন্য ধর্মাবলম্বীদের কোনও আপত্তি থাকা উচিত নয়। কেননা দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে উপমহাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশ অঞ্চল যদি এই ভিত্তিতে পাকিস্তানের অংশ না হতো তাহলে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না। তবে এখানে কিছু শর্ত আছে এবং সেগুলো হচ্ছে- ভারতের সংবিধানে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের সুরক্ষা ও নিশ্চয়তা থাকতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের বিনা বাধায় ধর্ম পালন ও ধর্মীয় অনুশাসন অনুশীলনের পূর্ণাঙ্গ নিশ্চয়তা দিতে হবে। জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের যে মহড়া বর্তমানে চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং সংখ্যালঘু মুসলমান ও খৃস্টান সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার-অবিচার বন্ধ করতে হবে। তাদের ঈমান-আকিদার পরিপন্থী কোনও আচার, সংস্কৃতি বা শিক্ষা-দীক্ষা চাপিয়ে দেয়া যাবে না। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ইসলামী রাষ্ট্রে কুরআনকে কখনও National Scripture বা জাতীয় পবিত্র গ্রন্থ ঘোষণা করা হয় না। কেননা, এতে অন্যদের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘিত হয়। এই রাষ্ট্রে ইসলামের ভিত্তিতে Personal Law নয়, Public Law কে পুনর্গঠিত করা হয়। ইসলামী আইনে সকল ধর্মের স্বাধীনতা রয়েছে এবং সংখ্যালঘুরা এখানে নিরাপদ থাকেন। প্রায় দু'শ' বছর মুসলমানদের অধীনে থাকার পরও ভারতে হিন্দুদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা তারই প্রমাণ।
ভারত একটি স্বাধীন দেশ। সে দেশে বর্ণ-হিন্দুদের অত্যাচার সম্পর্কে আমরা সজাগ। রামজন্মভূমি বিতর্ক এবং গুজরাট রায়টে  ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতাদের ভূমিকা সম্পর্কেও আমরা জানি।
সংখ্যাগরিষ্ঠদের হাতে এই দেশটির সংখ্যালঘুরা যেমনভাবে নির্যাতিত হচ্ছে তার নজির দুনিয়ার কোথাও নেই। আমরা যেমন ভারতের সাথে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান তেমনি ভারতের মুসলমান খৃস্টানসহ সকলেই শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান করুক তা আমাদের কামনা। একটি বড় দেশ হিসেবে ভারতের পরাশক্তি হবার বাসনা সেই দেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার বঞ্চিত করে অস্তিত্বহীন করুক- তা আমরা চাই না। আমরা আশা করি, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে পরিচালিত ভারত সরকার এই বিষয়টির উপর নজর রাখবেন। মানুষের সংবেদনশীল অনুভূতিতে আঘাত দিলে তার ফল ভাল হয় না।

__._,_.___

Posted by: Shah Abdul Hannan <shah_abdul_hannan@yahoo.com>

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcom

Website counter

Census 2010

Followers

Blog Archive

Contributors