Saturday, December 20, 2014


Satyananda Stokes (16 August 1882 - 14 May 1946) was an American who settled in India and participated in the Indian Independence Movement.[1] He is best remembered today for having introduced apple cultivation to the Indian state of Himachal Pradesh, where apples are today the major horticultural export crop.

Satyananda was born Samuel Evans Stokes, Jr., in an American Quaker family. His father, a very successful businessman, was the founder of the Stokes and Parish Machine Company which was a leading manufacturer of elevatorsin the USA. The Young Samuel did not acquire any professional skill as he was not interested in business. Nevertheless, his father made many efforts to involve him in running the business but Samuel was not interested as he believed in doing greater good in life. Since the family was wealthy, they provided for his needs.

In 1904, aged 22, Samuel came to India to work at a leper colony located at Subathu in the Shimla. His parents were opposed to this move, but he did it anyway because it was a job where he felt happy and satisfied. India was also far away from his parents and other people who looked down on him for not taking over his family business with eagerness. The lepers needed him and adored him and the other local people treated him with great respect because he was a foreign man doing a pious job. Once his parents realized that this job fulfilled some deep emotional need of their son, they supplied him with considerable money, which he used both for the leper colony and for helping local villagers in small ways, all of which further enhanced his respectability. Raised a Quaker, Samuel was drawn to the asceticism that is exalted in Indian spirituality and began living a simple, frugal life among the villagers, becoming a sort of Christian Sannyasi.

A few years later, the Archbishop of Canterbury, who was visiting the Viceroy at Shimla (the summer capital of the British Raj) heard of the leper colony and was impressed. He encouraged Samuel to form an order of Franciscan Friars, an order of monkhood committed to living in poverty and aiding the diseased and dying. Samuel formed such an order, but his membership in this wandering brotherhood of monks lasted only two years.

In 1912, Samuel married a local Rajput girl, gave up his life of poverty, purchased a chunk of farmland near his wife's village and settled there. His wife, Agnes, was the daughter of a first generation Rajput Christian.[2] Samuel's father had settled a considerable fortune upon Samuel, and the purchasing power of this inheritance was magnified manifold in the remote, beautiful part of India where he settled. He had also by now dealt with the demons of failure that had plagued his growing years, and as a white man in an uncritical rural society, in the company of an Indian wife who was non-judgmental and made few demands on his, Samuel was happier than he had ever been before. The family grew with the birth of five children.

Samuel applied himself to improving the farmland he had purchased and was able to access scholarly resources unknown to the other villagers in this endeavour. He identified a new strain of apples developed by the Stark brothers of Louisiana,USA as being suitable to the Simla Hills and began cultivating them on his farm. This was in the year 1916. The resulting bumper crops, coupled with Samuel's access to the white people who ran the export business in Delhi encouraged the other farmers to do as Samuel was doing, and he helped them wholeheartedly in every way. Indeed, he purchased more land and devoted it to groving apple cultivars which the villagers would use to seed their own farms. The local economy was vastly reinvigorating.

This happy idyll was shattered with the loss of his son Tara to amoebic dysentery. He moved closer to Hinduism and a few years later in 1932 he converted to Hinduism, taking the name "Satyananda" while his wife Agnes changed her name to "Priyadevi".[3] [4] Stokes' decision to convert to Hinduism was painful for his wife Agnes because it would cut her off from those she loved but she was prepared to follow the rest of the family through the painful readjustment.[5]

Stokes had always had a strong sense of social justice and later became active in India's freedom struggle for independence from Great Britain.[6] Stokes had the rare honour of being the only American to become a member of the All India Congress Committee (AICC) of the Indian National Congress. Along with Lala Lajpat Rai, he represented Punjab. He was the only non-Indian to sign the Congress manifesto in 1921, calling upon Indians to quit government service. He was jailed for sedition and promoting hatred against the British government in 1921, becoming the only American to become a political prisoner of Great Britain in the freedom struggle. On Stokes' arrest, Mahatma Gandhi wrote: "That he (Stokes) should feel with and like an Indian, share his sorrows and throw himself into the struggle, has proved too much for the government. To leave him free to criticise the government was intolerable, so his white skin has proved no protection for him…"

He died on 14 May 1946 after an extended illness shortly before Indian independence.

http://en.wikipedia.org/wiki/Satyananda_Stokes

এক বিদেশী ভারতবাসীর গল্প :সন্জয় দে
-----------------------------

আমাদের এই দেশে কত বিচিত্র মানুষের যে আভির্ভাব ঘটেছে, সেসব বেশিরভাগই আমাদের অজানা. আজ আমি যে মানুষটির কথা লিখব, আমার মনে হয় এসব মানুষের জীবনকথা স্কুলের পাঠ্যপুথিতে স্থান পাওয়া উচিত.

স্যামুয়েল ইভান স্টক এমনই এক ব্যক্তিত্ব যিনি আমেরিকার বিত্ত ঐশ্বর্য্য সব ছেড়ে ভারতে এসে স্থায়ী হয়েছিলেন এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন আজ ভারতের হিমাচল প্রদেশে horticultural export crop.হিসেবে যে বস্তুটি মর্যাদা পেয়েছে, সেই আপেল চাষের সূচনা তিনিই প্রথম আমাদের দেশে করেছিলেন. ভারতবাসীর সাথে মনে-প্রাণে একাত্ম হয়ে যাবার জন্য তিনি নিজের নাম পর্য্যন্ত বদলে নিয়ে এক ভারতীয় নাম ধারণ করেছিলেন, তিনি পরিচিত হয়েছিলেন সত্যানন্দ স্টক নামে.

১৮৮২ সনের ১৬ই আগস্ট আমেরিকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম হয়. তাঁর বাবা আমেরিকার একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন. তিনি ছিলেন Stokes and Parish Machine Company 'র প্রতিষ্ঠাতা. সমস্ত আমেরিকায় elevators তৈরির ক্ষেত্রে এই কোম্পানি ছিল অগ্রগণ্য. যুবক স্যামুয়েল কোন বৃত্তি মূলক দক্ষতা অর্জন করেন নি, কারণ ব্যবসার প্রতি তাঁর কোন আকর্ষণ ছিল না. কিন্তু তাঁর বাবা তাঁকে এই চলিত ব্যবসায় নিয়োজিত করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন. কিন্তু ব্যবসার প্রতি তাঁর কোন আগ্রহ ছিল না, তিনি জীবনে ভাল কিছু করার জন্য মানসিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন. পরিবারটি বিত্তশালী ছিল, তাই ব্যবসাতে নিয়োজিত না হয়েও রুটি-কাপড় মিলছিল.

১৯০৪ সনে মাত্র ২২ বছর বয়সে স্যামুয়েল ভারতের সিমলার সুবাথুতে leper কলোনির বাসিন্দাদের সাথে কাজ করতে আসেন. তার এই গতিবিধিতে তাঁর মা-বাবার ঘোর আপত্তি ছিল. কিন্তু এখানে তিনি তাঁর কাজে সুখী ও সন্তুষ্ট ছিলেন বলে মা-বাবার আপত্তি তাঁর কাছে অবান্তর মনে হয়েছিল. পরিবারের এত একটা সফল ব্যবসাকে অবজ্ঞা করে ভারতে চলে আসাতে তাঁর মা-বাবা সহ চেনা-পরিচিত আর স্বজনরাও তাঁর উপর সন্তুষ্ট ছিলেন না. লেপার কলোনির বাসিন্দাদের কাছে তাঁর প্রয়োজন ছিল, এবং তারাও তাকে পরম শ্রদ্ধাভরে গ্রহণ করেছিল. একজন বিদেশী বিত্তশালী লোক হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের সাথে সাধারণ মানুষেরই কাজ করে গেছেন. এক সময় তাঁর মা-বাবা অনুভব করলেন যে তাদের ছেলে সত্যিই তাঁর নিজের কাছে সন্তুস্ট আর সুখী আছে. তখন তাঁরা স্যামুয়েলকে আমেরিকা থেকে অর্থ প্রেরণ করতেন. স্যামুএল এই অর্থের একটা অংশ লেপার কলোনির উন্নতির জন্য ব্যয় করতেন আর অবশিষ্ট অংশ বিলিয়ে দিতেন স্থানীয় গরিব গ্রামবাসীর মধ্যে. এইসব জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য তিনি একসময় সকল শ্রেনীর মানুষের শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠলেন. তিনি গ্রামবাসীকে সাধারণ ও আধ্যাত্মিক জীবন যাপনের পরামর্শ দিতেন. এ জন্যই তিনি তাদের কাছে এক খ্রিস্টান সন্ন্যাসী হিসেবে পরিগণিত হয়ে গেলেন.

কয়েক বছর পর Canterbury 'র বিশপ যখন সিমলার ভাইসরয়'র সাথে দেখা করলেন, তখন তিনি লেপার কলোনির কথা শুনে খুব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং স্যামুয়েলকে কাজ করার প্রেরণা দেন.. তিনি গরিব, দুস্থ মানুষের সেবা করার জন্য স্যামুএলকে অনুপ্রাণিত করেন.

১৯১২ সনে স্যামুএল স্থানীয় এক রাজপূত মেয়েকে বিয়ে করেন. বিয়ের পর জীবনের দারিদ্রতা ত্যাগ করে স্ত্রীর গ্রামে এক টুকরা কৃষি জমি ক্রয় করে সেখানেই বসতি স্থাপন করেন. তাঁর স্ত্রী এগনেস প্রথম প্রজন্মের রাজপুত খ্রিস্টানের মেয়ে ছিলেন. স্যামুএল ভারতীয় স্ত্রীর সান্নিধ্যে পরম সুখী ছিলেন এবং পাঁচ সন্তানের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে পরিবারের কলেবর বৃদ্ধি পেল.

স্যামুয়েল তার কেনা কৃষি জমিতে কিছু করার জন্য মনোযোগী হলেন. তিনি এমন একটা ফলের চাষ করতে উদ্যত হয়েছিলেন, যেটা ভারতবাসীর কাছে ছিল সম্পূর্ণ অপরচিত. brothers of Louisiana, দ্বারা আমেরিকাতে আবিস্কৃত আপেলের নুতন প্রজাতির চারা আমদানি করেছিলেন. তাঁর ধারনা ছিল, সিমলার মাটিতে এই আপেলের চাষ খুব ভাল হবে. ১৯১৬ সনে তিনি তাঁর নিজের জমিতে এই আপেলের চাষ শুরু করেন. স্যামুয়েলের জমিতে এই আপেলের অকল্পনীয় ফলন হয়েছিল. তিনি ওই আপেল দিল্লিতে রপ্তানি করেন. স্যামুয়েলের এই সাফল্য অন্যান্য চাষীদের অনুপ্রাণিত করেছিল আর তাঁরাও আপেল চাষের সিদ্ধান্ত নিল. স্যামুয়েল ঐসব স্থানীয় চাষীদের নানা ভাবে সাহায্য করেন. ক্রমে তিনি আরো কৃষিজমি ক্রয় করে ব্যাপক হারে আপেলের চাষ শুরু করেন এবং স্থানীয় চাষীরা তাঁর কাছ থেকেই এই আপেলের বীজ/চারা সংগ্রহ করত. স্যামুয়েল স্টকের এই সক্রিযতাতে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল.

এই কর্মবীর সুখী মানুষটা এক সময়ে একটা বড় মানসিক আঘাতে স্তব্দ হয়ে পড়েন, যখন তাঁর ছেলেটা অকালে মারা গেল. একসময় তিনি ধীরে ধীরে হিন্দুত্বের প্রতি ঝুঁকে পড়েন এবং ১৯৩২ সনে তিনি ধিন্দুধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন. হিন্দুধর্ম গ্রহণ করে তিনি আর তাঁর স্ত্রী "সত্যানন্দ আর "প্রিয়াদেবি" নাম ধারণ করেন. এই ধর্ম পরিবর্তনের ঘটনা তাঁর স্ত্রী এগনেসের কাছে খুব বেদনাদায়ক একটা ব্যাপার হয়েছিল. কারণ এই ধর্ম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তাঁর বাপের বাড়ির সাথে একটা চির ধরে গিয়েছিল. তবু তিনি painful readjustment 'র মাধ্যমে বাকি জীবন স্বামীর সাথে থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন.

সত্যানন্দের মধ্যে সামাজিক ন্যায়ের একটা শক্তিশালী সেন্স বা ধারণা ছিল. এজন্যই তিনি বৃটিশের কবল থেকে ভারতকে মুক্তির লক্ষে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন. তিনি এই হিসেবে বিরল ব্যক্তি ছিলেন যিনি একজন আমেরিকান হয়েও ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সদস্য পদ অলংকৃত করেছিলেন. তিনি লালা রাজপত রায়ের সাথে পাঞ্জাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন. তিনি একমাত্র বিদেশী যিনি ১৯২১ সনে কংগ্রেস মেনিফেস্টোতে স্বাক্ষর করে ভারতবাসীকে বৃটিশের চাকুরী থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন. তিনিই একমাত্র আমেরিকান ছিলেন যিনি বৃটিশের বিরুদ্ধে একজন ভারতবাসী হয়ে জেল খেটেছেন. সত্যানন্দকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন মহাত্মা গান্ধী লিখেছিলেন-- "That he (Stokes) should feel with and like an Indian, share his sorrows and throw himself into the struggle, has proved too much for the government. To leave him free to criticise the government was intolerable, so his white skin has proved no protection for him…"

১৯৪৬ সনের ১৪ই মের অভিশপ্ত দিনটিতে এই মহান কর্মবীরের জীবনাবসান হয়. দুর্ভাগ্য এটাই, তিনি আমাদের স্বাধীনতা প্রাপ্তির দিনটি দেখে যেতে পারেন নি.

এক বিদেশী ভারতবাসীর গল্প   -----------------------------    আমাদের এই দেশে কত বিচিত্র মানুষের যে আভির্ভাব ঘটেছে, সেসব বেশিরভাগই আমাদের অজানা. আজ আমি যে মানুষটির কথা লিখব, আমার মনে হয় এসব মানুষের জীবনকথা স্কুলের পাঠ্যপুথিতে স্থান পাওয়া উচিত.     স্যামুয়েল ইভান স্টক এমনই এক ব্যক্তিত্ব যিনি আমেরিকার বিত্ত ঐশ্বর্য্য সব ছেড়ে ভারতে এসে স্থায়ী হয়েছিলেন এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ  দিয়েছিলেন   আজ ভারতের হিমাচল প্রদেশে  horticultural export crop.হিসেবে যে বস্তুটি মর্যাদা পেয়েছে, সেই আপেল চাষের সূচনা তিনিই  প্রথম আমাদের দেশে করেছিলেন. ভারতবাসীর সাথে মনে-প্রাণে একাত্ম হয়ে যাবার জন্য তিনি নিজের নাম পর্য্যন্ত বদলে নিয়ে এক ভারতীয় নাম ধারণ করেছিলেন,  তিনি পরিচিত হয়েছিলেন সত্যানন্দ স্টক নামে.    ১৮৮২ সনের ১৬ই আগস্ট আমেরিকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম হয়. তাঁর বাবা আমেরিকার একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন. তিনি ছিলেন  Stokes and Parish Machine Company 'র প্রতিষ্ঠাতা. সমস্ত আমেরিকায় elevators তৈরির ক্ষেত্রে  এই কোম্পানি ছিল অগ্রগণ্য. যুবক স্যামুয়েল কোন বৃত্তি মূলক দক্ষতা অর্জন করেন নি, কারণ ব্যবসার প্রতি তাঁর কোন আকর্ষণ ছিল না. কিন্তু তাঁর বাবা তাঁকে এই চলিত ব্যবসায় নিয়োজিত করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন. কিন্তু ব্যবসার প্রতি তাঁর কোন আগ্রহ  ছিল না, তিনি জীবনে ভাল কিছু করার জন্য মানসিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন.  পরিবারটি বিত্তশালী ছিল, তাই ব্যবসাতে নিয়োজিত না হয়েও  রুটি-কাপড় মিলছিল.     ১৯০৪ সনে মাত্র ২২ বছর বয়সে স্যামুয়েল ভারতের সিমলার সুবাথুতে leper কলোনির বাসিন্দাদের সাথে কাজ করতে আসেন. তার এই গতিবিধিতে তাঁর মা-বাবার ঘোর আপত্তি ছিল. কিন্তু এখানে তিনি তাঁর কাজে সুখী ও সন্তুষ্ট ছিলেন বলে মা-বাবার আপত্তি তাঁর কাছে অবান্তর মনে হয়েছিল. পরিবারের এত একটা সফল ব্যবসাকে অবজ্ঞা করে ভারতে চলে আসাতে তাঁর মা-বাবা সহ চেনা-পরিচিত আর স্বজনরাও তাঁর উপর সন্তুষ্ট ছিলেন না. লেপার কলোনির বাসিন্দাদের কাছে তাঁর প্রয়োজন ছিল, এবং তারাও তাকে পরম শ্রদ্ধাভরে গ্রহণ করেছিল. একজন বিদেশী বিত্তশালী লোক হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের সাথে সাধারণ মানুষেরই কাজ করে গেছেন. এক সময় তাঁর মা-বাবা অনুভব করলেন যে তাদের ছেলে সত্যিই তাঁর নিজের কাছে সন্তুস্ট আর সুখী আছে. তখন তাঁরা স্যামুয়েলকে আমেরিকা থেকে অর্থ প্রেরণ করতেন. স্যামুএল এই অর্থের একটা অংশ  লেপার কলোনির উন্নতির জন্য ব্যয় করতেন আর অবশিষ্ট অংশ বিলিয়ে দিতেন স্থানীয় গরিব গ্রামবাসীর মধ্যে. এইসব জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য তিনি একসময় সকল শ্রেনীর মানুষের শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠলেন. তিনি গ্রামবাসীকে সাধারণ ও আধ্যাত্মিক জীবন যাপনের পরামর্শ দিতেন. এ জন্যই তিনি তাদের কাছে এক খ্রিস্টান সন্ন্যাসী হিসেবে পরিগণিত হয়ে গেলেন.     কয়েক বছর পর  Canterbury 'র বিশপ যখন সিমলার  ভাইসরয়'র সাথে দেখা করলেন, তখন তিনি লেপার কলোনির কথা শুনে খুব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং স্যামুয়েলকে কাজ করার প্রেরণা দেন.. তিনি গরিব, দুস্থ মানুষের সেবা করার জন্য স্যামুএলকে অনুপ্রাণিত করেন.     ১৯১২ সনে স্যামুএল স্থানীয় এক রাজপূত মেয়েকে বিয়ে করেন. বিয়ের পর জীবনের দারিদ্রতা ত্যাগ করে স্ত্রীর গ্রামে এক টুকরা কৃষি জমি ক্রয় করে সেখানেই বসতি স্থাপন করেন. তাঁর স্ত্রী এগনেস প্রথম প্রজন্মের রাজপুত খ্রিস্টানের মেয়ে ছিলেন. স্যামুএল ভারতীয় স্ত্রীর সান্নিধ্যে পরম সুখী ছিলেন এবং পাঁচ সন্তানের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে পরিবারের কলেবর বৃদ্ধি পেল.     স্যামুয়েল তার কেনা কৃষি জমিতে কিছু করার জন্য মনোযোগী হলেন.  তিনি এমন একটা ফলের চাষ করতে উদ্যত হয়েছিলেন, যেটা ভারতবাসীর কাছে ছিল সম্পূর্ণ অপরচিত. brothers of Louisiana, দ্বারা  আমেরিকাতে আবিস্কৃত আপেলের নুতন প্রজাতির চারা আমদানি করেছিলেন. তাঁর ধারনা ছিল, সিমলার মাটিতে এই আপেলের চাষ খুব ভাল হবে. ১৯১৬ সনে তিনি তাঁর নিজের জমিতে এই আপেলের চাষ শুরু করেন.  স্যামুয়েলের জমিতে এই আপেলের অকল্পনীয় ফলন হয়েছিল.  তিনি ওই আপেল দিল্লিতে রপ্তানি করেন. স্যামুয়েলের এই সাফল্য অন্যান্য চাষীদের অনুপ্রাণিত করেছিল আর তাঁরাও আপেল চাষের সিদ্ধান্ত নিল. স্যামুয়েল ঐসব স্থানীয় চাষীদের নানা ভাবে সাহায্য করেন. ক্রমে তিনি আরো কৃষিজমি ক্রয় করে ব্যাপক হারে আপেলের চাষ শুরু করেন এবং স্থানীয় চাষীরা তাঁর কাছ থেকেই এই আপেলের বীজ/চারা সংগ্রহ করত. স্যামুয়েল স্টকের এই সক্রিযতাতে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল.        এই কর্মবীর সুখী মানুষটা এক সময়ে একটা বড় মানসিক আঘাতে স্তব্দ হয়ে পড়েন, যখন তাঁর ছেলেটা অকালে মারা গেল.   একসময় তিনি ধীরে ধীরে হিন্দুত্বের প্রতি ঝুঁকে পড়েন  এবং ১৯৩২ সনে তিনি ধিন্দুধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন. হিন্দুধর্ম গ্রহণ করে তিনি আর তাঁর স্ত্রী "সত্যানন্দ আর "প্রিয়াদেবি" নাম ধারণ করেন. এই ধর্ম পরিবর্তনের ঘটনা তাঁর স্ত্রী এগনেসের কাছে খুব বেদনাদায়ক একটা ব্যাপার হয়েছিল. কারণ এই ধর্ম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তাঁর বাপের বাড়ির সাথে একটা চির ধরে গিয়েছিল. তবু তিনি  painful readjustment 'র মাধ্যমে বাকি জীবন স্বামীর সাথে থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন.     সত্যানন্দের মধ্যে সামাজিক ন্যায়ের একটা শক্তিশালী  সেন্স বা ধারণা ছিল. এজন্যই তিনি বৃটিশের কবল থেকে ভারতকে মুক্তির লক্ষে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন. তিনি এই হিসেবে বিরল ব্যক্তি ছিলেন যিনি একজন আমেরিকান হয়েও ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির  সদস্য  পদ অলংকৃত  করেছিলেন. তিনি লালা রাজপত রায়ের সাথে পাঞ্জাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন.   তিনি একমাত্র বিদেশী যিনি ১৯২১ সনে কংগ্রেস মেনিফেস্টোতে স্বাক্ষর করে ভারতবাসীকে  বৃটিশের চাকুরী থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন. তিনিই একমাত্র আমেরিকান ছিলেন যিনি বৃটিশের বিরুদ্ধে একজন ভারতবাসী হয়ে জেল খেটেছেন. সত্যানন্দকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন মহাত্মা গান্ধী লিখেছিলেন--

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcom

Website counter

Census 2010

Followers

Blog Archive

Contributors