শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে আজ বিশ্ব জননীতে পরিনত হয়েছেন
ইতালী, ৩০ জুন' ২০১২ (বিডিএনএন২৪) : গত ২৮ জুন পিয়াছা ভিত্তোরিয়ায় অবস্হিত লিটল ইন্ডিয়া রেস্ট্রুরেন্টে ৭১এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ইতালী, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ১৮তম মৃত্যু বার্ষিকি উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে । সাধারন সম্পাদক রাজু আহমেদের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন রোমের বাংলা পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা ও স্হায়ী বাঙ্গালী কমিনিটির নেতা জনাব মুকুল খান । বিশেষ আতিথি হিসেবে ছিলেন কমিনিটি নেতা ও ট্রাভেলস ব্যবসায়ী জনাব রাজ বাবলা । আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান মিতু ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন ম্যাক্সিম গোর্কির মা উপন্যাসের সেই মাকে হার মানানো বাংলাদেশের শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে আজ বিশ্ব জননীতে পরিনত হয়েছেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অংশগ্রহন ও আতœত্যাগ বিস্ময়কর। আমি আশাবাদী মানুষ। সম্পূর্ন নতুন প্রজন্মের যুবকদের দ্বারা গঠিত ইতালি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বাঙ্গালী জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা পূরনে অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীকে আরও জোরদার করতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। আমার আত্মার সাথে সম্পর্কিত যে কাজ গুলো হয়, জননী জাহানারা ইমামের ১৮ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে আয়োজিত আজকের এই আলোচনা সভা তার অন্যতম। আমার মত সামান্য মানুষকে প্রধান অতিথি করায় আমি গর্ববোধ করছি, এর চেয়ে অনেক বড় কিছুতেই আমি এত কৃতজ্ঞ হতাম না। আমি বাজী ধরে বলতে পারি, যে দেশের নতুন প্রজন্ম এতো বেশী সচেতন আর অদম্য সে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কেউ বাধা হয়ে দাড়াতে পারবে না এবং সেই দেশের উন্নতি কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। ধন্যবাদ সুযোগ্য সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান মিতু ও সাধারন সম্পাদক রাজু আহমেদ সহ উপস্হিত সবাইকে । আজকের এই দিনে আমি যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির দাবী জানাচ্ছি।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্ম না হলে যেমন আমরা বাংলাদেশ পেতাম না । ঠিক তেমনি ভাবে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্ম না হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত বিশেষ ট্রাবুনাল হতো না । বিশিষ্ট যুদ্ধাপরাধী আবুল কালাম আযাদ গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকার পরও পালিয়ে যাওয়াকে সরকারের ব্যর্থতা বলে সরকারের সমালোচনা করেন । তিনি বর্তমান সরকারকে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য ইউনেসকোকে ২৫শে মার্চ আর্ন্তজাতিক গনহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষনা করার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন । আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রচার সম্পাদক মির্জা বাবু, দপ্তর সম্পাদক ইকবাল আহমেদ, মোঃ জসিম, শাহিন, সোহেল প্রমুখ ।
No comments:
Post a Comment